Electrodoc অ্যাপ: ইলেকট্রনিকসের সহজ ক্যালকুলেশন টুল

0
51
ElectroDoc - ইলেকট্রনিক্স ক্যালকুলেশন করুন সহজেই
ElectroDoc - ইলেকট্রনিক্স ক্যালকুলেশন করুন সহজেই

ইলেকট্রনিক্সের শিক্ষার্থী ও পেশাদারদের জন্য Electrodoc অ্যাপ: এক নজরে

আজ আমরা পরিচিত হবো এমন একটি অ্যাপের সঙ্গে, যা ইলেকট্রনিকস নিয়ে কাজ করা সকলের জন্য অপরিহার্য। শিক্ষার্থী থেকে পেশাদার, সবাই এই টুলটি ব্যবহার করে জটিল ক্যালকুলেশন মুহূর্তেই সহজে করতে পারবেন। অ্যাপটির নাম Electrodoc, যা আপনি গুগল প্লে স্টোরে সহজেই খুঁজে পাবেন। চলুন, এর অসাধারণ ফিচার এবং ব্যবহারিক দিকগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করি।


Electrodoc: সহজ ইলেকট্রনিক ক্যালকুলেশন হাতের মুঠোয়

Electrodoc একটি অত্যন্ত কার্যকর অ্যাপ, যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক উপাদানের ক্যালকুলেশন থেকে শুরু করে ডায়াগ্রাম ও রেফারেন্স তথ্য সহজেই সরবরাহ করে। এই অ্যাপটি মূলত চারটি প্রধান ট্যাব নিয়ে সাজানো:

  1. Calculation (গণনা)
  2. Pin-Outs (পিন আউট ডায়াগ্রাম)
  3. Resources (উপকরণ)
  4. Plugins

এখানে আমরা অ্যাপটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ Calculation ট্যাবটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সহজ ইলেকট্রনিক ক্যালকুলেশন হাতের মুঠোয় - ElectroDoc
সহজ ইলেকট্রনিক ক্যালকুলেশন হাতের মুঠোয় – ElectroDoc

Calculation ট্যাবের ফিচারসমূহ

রেজিস্টর কালার কোড 

আপনার হাতে থাকা রেজিস্টরের কালার কোডের সাহায্যে এর মান নির্ণয় করুন।

  • উদাহরণ: একটি 1k ওহম রেজিস্টরের কালার কোড হবে বাদামী → কালো → লাল → সোনালী
    এটি ইনপুট দিলে অ্যাপটি সাথে সাথেই রেজিস্টরের মান দেখাবে।

যেমন, আপনার কাছে থাকা রেজিস্টর যত ব্যান্ডের, তত ব্যান্ড সিলেক্ট করার অপশন পাবেন। তীর চিহ্ন দেয়া থ্রি ডট আইকনে ট্যাপ করলে এখানে বিভিন্ন ব্যান্ড সিলেক্ট করতে পারবেন।

রেজিস্টরের কালার কোডের সাহায্যে এর মান নির্ণয়
রেজিস্টরের কালার কোডের সাহায্যে এর মান নির্ণয়

এখানে বর্তমানে 4 Bands সিলেক্ট করা আছে। আপনি চাইলে 3, 5, 6 Bands ও সিলেক্ট করতে পারবেন।

রেজিস্টরের কালার কোডের সাহায্যে এর মান নির্ণয়
রেজিস্টরের কালার কোডের সাহায্যে এর মান নির্ণয়

রেজিস্টর এর ভ্যালু বসানোর জন্য প্রথমে রেজিস্টর এর সোনালী কালার যে ব্যান্ড টা আছে, সেটা হাতের ডান দিকে রেখে, এরপর যথাক্রমে কালার কোড বসাতে হবে।

রেজিস্টরের সোনালী ব্যান্ড টিকে হাতের ডান দিকে রাখতে হবে
রেজিস্টরের সোনালী ব্যান্ড টিকে হাতের ডান দিকে রাখতে হবে

উদাহরণস্বরূপ: যদি আমার কাছে একটা 1K ওহমের রেজিস্টর থাকে, তাহলে এটার সোনালী ব্যান্ডটা ডান দিকে রেখে যথাক্রমে (বাদামী> কালো> লাল> সোনালী) কালার কোড বসালে রেজিস্টরের ভ্যালু জানতে পারলাম 1K এবং এর টলারেন্স ±৫ পারসেন্ট।

SMD রেজিস্টর কোড ক্যালকুলেটর

সার্কিট বোর্ডে থাকা SMD রেজিস্টরের কোড থেকে এর মান বের করতে পারবেন।

SMD রেজিস্টরের ভ্যালু নির্ণয়
SMD রেজিস্টরের ভ্যালু নির্ণয়

এখানে আমরা পিসিবিতে থাকা বিভিন্ন SMD রেজিস্টর এর উপর লিখা কোডটা বসিয়ে দিলেই এই রেজিস্টর এর মান কত জানতে পারব।

  • উদাহরণ: 103 কোডের একটি SMD রেজিস্টরের মান হবে 10k ওহম

ওহমস ল ক্যালকুলেটর

ওহম’স ল ব্যবহার করে যেকোনো দুটি প্যারামিটার (কারেন্ট, ভোল্টেজ, রেজিস্ট্যান্স) ইনপুট দিলে তৃতীয়টি নির্ণয় করা যাবে।

ওহমস ল ক্যালকুলেটর
ওহমস ল ক্যালকুলেটর

উদাহরণ: আমি একটা ১২ ভোল্টের ডিসি পাওয়ার সোর্স থেকে ১০ ওহম রেজিস্ট্যান্স বিশিষ্ট একটা লোড ব্যবহার করলে, এই মান গুলো এখানে ইনপুট দিলে দেখতে পাচ্ছি আমার সার্কিটে 1.2 A এর কারেন্ট প্রবাহিত হচ্ছে। এবং সেই সাথে কতটা পাওয়ার খরচ হচ্ছে সেটাও এতে দেখা যায়।

আবার ধরা যাক আমি ১২ ভোল্ট ৫ এম্পিয়ার এর একটা পাওয়ার সোর্স থেকে এমন একটা লোড চালাতে চাচ্ছি, যেই লোডে আমি যত এম্পিয়ার দিব সে তত এম্পিয়ার নিতে থাকবে। কিন্তু আমি চাচ্ছি আমার লোডটা যেন 1.2A এর বেশি কারেন্ট নিতে না পারে। মানে কারেন্ট লিমিট করতে চাচ্ছি।

সেক্ষেত্রে আমি ১০ ওহমের একটা রেজিস্টর ব্যবহার করলে আমি সার্কিটে 1.2 A কারেন্ট লিমিট করতে পারব। আমার লোড 1.2 এম্পিয়ার এর বেশি কারেন্ট নিতে পারবে না। এক্ষেত্রে ১০ ওহমের যেই রেজিস্টরটা আছে, সেটা 14.4 ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করবে।

ভোল্টেজ ডিভাইডার ক্যালকুলেটর

দুটি রেজিস্টর ব্যবহার করে ভোল্টেজ ডিভাইড করার ক্যালকুলেশন করা যাবে এই ইলেকট্রডক ক্যালকুলেটরের সাহায্যে।

ভোল্টেজ ডিভাইডার ক্যালকুলেটর
ভোল্টেজ ডিভাইডার ক্যালকুলেটর

ভোল্টেজ ডিভাইডার একটি মৌলিক ইলেকট্রনিক সার্কিট যা দুটি রেজিস্টরের মাধ্যমে একটি আউটপুট ভোল্টেজ উৎপন্ন করে। এটি সাধারণত উচ্চ ভোল্টেজের সোর্স থেকে একটি নির্দিষ্ট কম ভোল্টেজ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

  • উদাহরণ: আমি ৫ ভোল্টের একটা পাওয়ার সোর্স থেকে 2.20 ভোল্টের একটা আউটপুট নিতে চাচ্ছি, যেটা থেকে আমি 100k ওহমের একটা লোড চালাবো। সেক্ষেত্রে আমার 6k ওহম এবং 5k ওহমের দুটি রেজিস্টর সোর্সের সাথে সিরিজে সংযোগ করতে হবে। তাহলে দুটি রেজিস্টর এর সংযোগ পয়েন্টে আমি 2.212 ভোল্ট অর্থাৎ প্রায় 2.20 ভোল্ট পাব।

রেজিস্টর সিরিজ প্যারালাল

বাজারে না পাওয়া কোনো রেজিস্টরের মান কিভাবে সিরিজ বা প্যারালাল সংযোগে তৈরি করা যায় তা নির্ণয় করা যায় সহজেই এই এপ দিয়ে।

রেজিস্টর সিরিজ প্যারালাল
রেজিস্টর সিরিজ প্যারালাল
  • উদাহরণ: ধরা যাক আমার 7.5 ওহম বা তার আসেপাশের একটা রেজিস্টর দরকার। কিন্তু এটি এই মুহূর্তে আমার কাছে নেই। কিন্তু আমার কাছে 33k এবং 10k এর দুটি রেজিস্টর আছে। তাহলে আমি যদি এই দুটো রেজিস্টর প্যারালাল করে দেই, তাহলে আমি 7.674 ওহমের একটা রেজিস্টর পেয়ে যাবো। অথবা যদি এই মানের রেজিস্টর না থাকে, তাহলে অন্যান্য যেসব মানের রেজিস্টর আমার কাছে আছে, সেসব মান এখানে সিরিজ বা প্যারালালে ইনপুট দিয়ে আমার কাঙ্ক্ষিত রেজিস্ট্যান্স পাবার জন্য কোন রেজিস্টর কিভাবে ব্যবহার করলে সেই মান পেতে পারি, এর ক্যালকুলেশন করে নিতে পারি।

এলইডি রেজিস্টর ক্যালকুলেটর

বিভিন্ন ভোল্টেজের সোর্স থেকে এলইডি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় রেজিস্টরের মান নির্ধারণ করুন সহজেই।

এলইডি রেজিস্টর ক্যালকুলেটর
এলইডি রেজিস্টর ক্যালকুলেটর
  • উদাহরণ: একটা ৫ ভোল্টের পাওয়ার সোর্স থেকে যদি আমি একটি 4V, 500mA এর একটা লাইট জ্বালাতে চাই সেক্ষেত্রে এই মান গুলো এখানে ইনপুট দিলেই দেখতে পাচ্ছি ২ ওহম এর একটি রেজিস্টর ব্যবহার করতে হবে।

আবার এতে আরও একটা ফিচার আছে। যেমন: আমি ১২ ভোল্টের একটা পাওয়ার সোর্স থেকে ৫ টা 2V, 20 mA এর ছোট লাইটগুলো একসাথে জ্বালাতে চাচ্ছি।

সেক্ষেত্রে এই প্যারামিটার গুলো ইনপুট দিয়ে। তীর চিহ্ন দেয়া জায়গায় ৫ সিলেক্ট করে দিলেই এপ্লিকেশনটি ক্যালকুলেট করে দিয়েছে যে আমার ১০০ ওহম এর রেজিস্টর ব্যবহার করতে হবে। নিচের ছবিতেই তা দেখতে পাচ্ছেন-

এক সাথে ৫টি এলইডি জ্বালানোর জন্য ক্যালকুলেশন
এক সাথে ৫টি এলইডি জ্বালানোর জন্য ক্যালকুলেশন

ভোল্টেজ ড্রপ ক্যালকুলেটর

খুব সহজেই এই ইলেকট্রডক এপ দিয়ে তারের ভোল্টেজ ড্রপ ও পাওয়ার লস নির্ণয় করতে পারবেন।

একটা তারের ভোল্টেজ ড্রপ কত হতে পারে?
একটা তারের ভোল্টেজ ড্রপ কত হতে পারে?
  • উদাহরণ: আমি ১২ ভোল্টের একটা সোর্স থেকে ১০ মিটার দূরে একটি ২ এম্পিয়ার এর লোড চালাতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমি যদি ১.৫mm² এর কপারের তার ব্যবহার করি, তাহলে এর ফলে আমার 472.572mV (মিলি ভোল্ট) ভোল্টেজ ড্রপ হবে, লোডের প্রান্তে ভোল্টেজ পাব 11.527 V , পাওয়ার লস হবে 945.145 mW. যা আমরা এই এপ্লিকেশনটার মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই জেনে নিতে পারলাম।  কপারের তার ব্যবহার করলে ১০ মিটার দূরে 472.572mV ভোল্টেজ ড্রপ হবে।

এডজাস্টেবল ভোল্টেজ রেগুলেটর ক্যালকুলেটর

“Adjustable voltage regulator” এই অপশন দিয়ে LM317 এডজাস্ট্যাবল ভোল্টেজ রেগুলেটর ব্যবহার করে ভোল্টেজ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় মানের রেজিস্টর নির্ণয় করা যায়।

এডজাস্টবল ভোল্টেজ রেগুলেটর ক্যালকুলেটর
এডজাস্টবল ভোল্টেজ রেগুলেটর ক্যালকুলেটর

যেমন: ধরা যাক আমি ১২ ভোল্টের একটা পাওয়ার সোর্স থেকে লিনিয়ার 8V আউটপুট নিতে চাচ্ছি। সেক্ষেত্রে আমার R1 এ 2k ওহম এর রেজিস্টর এবং R2 তে 10k ওহম রেজিস্টর ব্যবহার করলেই আমি রেগুলেটর থেকে লিনিয়ার ৮ ভোল্ট আউটপুট পাব।

এর সাথে এতে আরও একটা ফিচার আছে। আমি যদি আমার ব্যবহার করা লোডের কারেন্ট রেটিং এতে ইনপুট করি, তাহলে নিচে দেখতে পাব এই রেগুলেটরটা কত ওয়াট পাওয়ার লস করবে।

এডজাস্টেবল ভোল্টেজ রেগুলেটর কত ওয়াট খরচ করছে তা নির্ণয়
এডজাস্টেবল ভোল্টেজ রেগুলেটর কত ওয়াট খরচ করছে তা নির্ণয়

যেমন:- আমি যদি 300mA এর একটা লোড ব্যবহার করি। তাহলে নিচে দেখা যাচ্ছে P (IC) = 1.2W. অর্থাৎ 300 mA কারেন্ট ব্যবহার করলে আইসিটা ১.২ ওয়াট পাওয়ার লস করবে।

পাওয়ার ক্যালকুলেটর

“Power Calculator” এর মাধ্যমে এসি এবং ডিসি লোডের পাওয়ার ক্যালকুলেট করা যায়।

পাওয়ার ক্যালকুলেটর
পাওয়ার ক্যালকুলেটর

আমরা যদি এসি সিঙ্গেল ফেজ এর একটি লোডের ওয়াট ক্যালকুলেট করতে যাই। তাহলে লোডের কারেন্ট, সাপ্লাই ভোল্টেজ এবং পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান ইনপুট করলেই কত ওয়াটের লোড সেটা ক্যালকুলেট করা যাবে।

আমরা যদি ডিসি কারেন্টের একটি লোডের ওয়াট ক্যালকুলেট করতে চাই। তাহলে লোডের কারেন্ট এবং সাপ্লাই ভোল্টেজ এর মান ইনপুট করলেই কত ওয়াটের লোড সেটা ক্যালকুলেট করা যাবে।

আবার অন্যভাবে যদি আমাদের ভোল্টেজ এবং ওয়াট জানা থাকে, তাহলে এগুলো ইনপুট দিলে এর মাধ্যমে সহজেই লোডের কারেন্ট জানা যাবে।

ডিসি কারেন্টের একটি লোডের ওয়াট ক্যালকুলেট
ডিসি কারেন্টের একটি লোডের ওয়াট ক্যালকুলেট

যেমন:- আমার কাছে একটা ৪ ভোল্ট ৫ ওয়াটের একটা এলিডি লাইট রয়েছে, যার কারেন্ট রেটিং আমি জানতে চাই। সেক্ষেত্রে আমি ভোল্টেজ এবং এক্টিভ পাওয়ার অর্থাৎ লাইটের ওয়াট ইনপুট দিলেই কারেন্ট রেটিং জানতে পারব। অর্থাৎ এই তিনটা প্যারামিটার এর যেকোনো দুটি প্যারামিটার জানা থাকলে অন্য প্যারামিটার জানা যাবে।

এছাড়াও এটি দিয়ে এসি সিঙ্গেল ফেজ এবং থ্রি ফেজ এর পাওয়ার বা কারেন্ট অথবা ভোল্টেজ ক্যালকুলেট করা যাবে।

এসি থ্রি ফেজ বা সিঙ্গেল ফেজ পাওয়ার ক্যালকুলেটর
এসি থ্রি ফেজ বা সিঙ্গেল ফেজ পাওয়ার ক্যালকুলেটর

Pin-Outs ট্যাব

এই ট্যাবে বিভিন্ন পোর্ট, কানেক্টর এবং আইসির পিন আউট ডায়াগ্রাম সহজেই দেখতে পাবেন। যেখান থেকে সহজে বিভিন্ন পোর্ট এবং কানেক্টর এর পিন আউট ডায়াগ্রাম দেখা যায়।

বিভিন্ন পোর্ট এবং কানেক্টর এর পিন আউট
বিভিন্ন পোর্ট এবং কানেক্টর এর পিন আউট
  • উদাহরণ: USB, HDMI, RJ45 ইত্যাদি পোর্টের সংযোগ ডায়াগ্রাম। উপরের চিত্রে বিস্তারিত দেয়া আছে আর মূল ইলেকট্রডক এপ টিতে পিন আউট ভালো ভাবে দেখতে পাবেন।

Resources ট্যাব

এই ট্যাবে বিভিন্ন আইসির পিন আউট, ওয়্যার সাইজ, স্ট্যান্ডার্ড ক্যাপাসিটরস লিস্ট, সিম্বল এবং এর নাম ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক বিষয় আছে। যা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। যেগুলো কাজ করার সময় অনেক কাজে দিবে।

Resources ট্যাবে বিভিন্ন আইসির পিন আউট, ওয়্যার সাইজ, স্ট্যান্ডার্ড ক্যাপাসিটরস লিস্ট, সিম্বল এবং এর নাম ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক বিষয় আছে
Resources ট্যাবে বিভিন্ন আইসির পিন আউট, ওয়্যার সাইজ, স্ট্যান্ডার্ড ক্যাপাসিটরস লিস্ট, সিম্বল এবং এর নাম ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক বিষয় আছে

Electrodoc ব্যবহারের কিছু টিপস:

এখন এপ্লিকেশনটির বেসিক ইউজ সম্পর্কে কিছু টিপস দেয়া যাক। এরকম সবুজ বক্সের উপর ট্যাপ করলে এর ভেলু চেঞ্জ করা যাবে। ভ্যালু চেঞ্জ করার সময় এর পাশেই এর একক সিলেক্ট করার অপশন থাকবে। যেখানে প্রয়োজনীয় একক সিলেক্ট করা যাবে।

এরকম সবুজ বক্সের উপর ট্যাপ করলে এর ভেলু চেঞ্জ করা যাবে
এরকম সবুজ বক্সের উপর ট্যাপ করলে এর ভেলু চেঞ্জ করা যাবে
যেখানে প্রয়োজনীয় একক সিলেক্ট করা যাবে
যেখানে প্রয়োজনীয় একক সিলেক্ট করা যাবে

অনেক সময় কোনো ভ্যালুকে ফিক্সড রাখার প্রয়োজন হলে নিচে থাকা Block a value অপশনে ক্লিক করে সেই ভ্যালুকে ফিক্সড করে রাখা যাবে।

কোনো ভ্যালুকে ফিক্সড রাখার প্রয়োজন হলে
কোনো ভ্যালুকে ফিক্সড রাখার প্রয়োজন হলে

ক্যালকুলেশনে রেজিস্টর রিলেটেড কিছু থাকলে রেজিস্টর এর টলারেন্স সিলেক্ট করার অপশন থাকে। যেখান থেকে প্রকৃত টলারেন্স সিলেক্ট করার মাধ্যমে একুরেট ক্যালকুলেশন করা যায়। নিচের ছবি দেখুন-

রেজিস্টরের প্রকৃত টলারেন্স সিলেক্ট করার মাধ্যমে একুরেট ক্যালকুলেশন করা যায়।
রেজিস্টরের প্রকৃত টলারেন্স সিলেক্ট করার মাধ্যমে একুরেট ক্যালকুলেশন করা যায়।

সংক্ষেপে বলা যায় যেঃ

  1. সবুজ বক্সের উপর ট্যাপ করে ইনপুট ভ্যালু পরিবর্তন করতে পারবেন।
  2. কোনো ভ্যালুকে স্থির রাখতে চাইলে Block a Value অপশন ব্যবহার করুন।
  3. রেজিস্টর ক্যালকুলেশনে টলারেন্স সিলেক্ট করে আরও নির্ভুল ফলাফল পেতে পারেন।

ElectroDoc নিয়ে বিস্তারিত ভিডিও

আমাদের ইলেকট্রনিক্সের ইউটিউব চ্যানেলে ইলেকট্রডক – ElectroDoc নিয়ে বিস্তারিত ব্যবহারিক টিউটোরিয়াল ভিডিও বের হয়েছে। দেখুন এখনি –


উপসংহার

Electrodoc অ্যাপটি ইলেকট্রনিকস শিক্ষার্থী এবং পেশাদারদের জন্য একটি অত্যন্ত সহায়ক হাতিয়ার। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং কাজকে নির্ভুল ও সহজ করে তোলে। আপনারা যদি এই অ্যাপের অন্যান্য ফিচার নিয়ে জানতে চান, তাহলে আমাদের কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আপনার মতামতই আমাদের নতুন আর্টিকেল লেখার প্রেরণা।

Electrodoc দিয়ে আপনার কাজ সহজ করুন—আজই ব্যবহার শুরু করুন!

উত্তর প্রদান

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন