বিজ্ঞান মেলার জন্য ৫টি দারুণ প্রজেক্ট আইডিয়া
বিজ্ঞান মেলার জন্য ৫টি দারুণ প্রজেক্ট আইডিয়া

আমাদের কাছে অনেক পাঠক বিজ্ঞান মেলা তে প্রদর্শনের জন্য প্রজেক্ট আইডিয়া ও পরামর্শ চান। মূলত শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানে উৎসাহী করার উদ্দেশ্যে নিয়মিত বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে শত শত বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এসব বিজ্ঞান মেলায় বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন আয়োজন এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা চাইলে বিজ্ঞান সম্পর্কিত পেপার, প্রজেক্ট ও পোস্টার বানিয়ে প্রদর্শন করতে পারে।

তবে এক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন মেনে প্রজেক্ট/পেপার/পোস্টার করলে সেটির গুণগত মান অনেক ভাল হয় এবং সেরা হিসেবে নির্বাচিত হবার সম্ভাবনাও বাড়ে। বিজ্ঞান মেলায় প্রজেক্ট ছাড়াও পেপার, পোস্টার প্রদর্শন করা গেলেও আজকের এ লেখায় শুধুমাত্র প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা এবং বিজ্ঞান মেলার জন্য ৫টি দারুণ মজার কিন্তু সহজ বিজ্ঞান প্রজেক্ট তৈরি করার আইডিয়া দেয়া হবে। সেই সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ থাকবে যা মেনে চললে বিজ্ঞান মেলায় সফল হওয়া সহজ হবে।

ব্যবহার করা।

পরিচ্ছেদসমূহ

প্রজেক্টের আইডিয়া

নিচে ৫টি প্রজেক্ট এর আইডিয়া ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া হলো। প্রত্যেকটি প্রজেক্টই গবেষণা করে আরও উন্নত করা সম্ভব। উপস্থাপক প্রয়োজন মনে করলে এই প্রজেক্ট গুলোকে ভিন্ন নামেও উপস্থাপন করতে পারেন (যেমনঃ হাঁটতে চলতে বিদ্যুৎ, ওয়াকিং পাওয়ার প্যাড, আর্থকুয়েক এলার্ম মেশিন, ফোন-ও-এম্প ইত্যাদি)

বিজ্ঞান প্রজেক্ট – ১ – চাপশক্তি কে বিদ্যুৎ শক্তি তে রূপান্তর

এই প্রজেক্টটি দুইভাবে করা যায়।

এমন একটি ম্যাকানিকাল যন্ত্র বানানো যেটা থেকে একটি লিভার বের হয়ে থাকবে, সেই লিভারে চাপ পড়লে একটি ডায়নামোর শ্যাফট ঘুরবে, ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। তবে এ পদ্ধতির একটি অসুবিধা হচ্ছে, যন্ত্রটিতে বেশ কয়েকটা ম্যাকানিকাল অংশ থাকবে, তাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। নিচের এনিমেশন চিত্রে এমনি পায়ের চাপে বিদ্যুৎ তৈরির একটি প্রাথমিক ধারণা দেয়া হলো-

বিজ্ঞান প্রজেক্ট - পায়ের চাপে বিদ্যুৎ তৈরির ধারণা মূলক এনিমেশন চিত্র
বিজ্ঞান প্রজেক্ট – পায়ের চাপে বিদ্যুৎ তৈরির ধারণা মূলক এনিমেশন চিত্র

দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হচ্ছে – পিজো এলিমেন্ট (Piezo element a.k.a piezo transducer) ব্যবহার করা।

পিজো এলিমেন্ট বা পিজো ট্রান্সডিউসার ব্যবহার করে খুব অল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়
পিজো এলিমেন্ট বা পিজো ট্রান্সডিউসার ব্যবহার করে খুব অল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়

চিত্রে- পিজো এলিমেন্ট

সাধারণত খুব ছোট ও পাতলা স্পিকার লাগে যেখানে, সেখানে পিজো এলিমেন্টকে ব্যবহার করা হয়। যেমন, কিছু গ্রিটিংস কার্ড পাওয়া যায় যেগুলো খুললেই মিউজিক শোনা যায়, সেগুলোতে স্পিকার হিসেবে পিজো এলিমেন্ট ব্যবহার করা হয়। কন্টাক্ট মাইক্রোফোন নামে একধরণের মাইক্রোফোন আছে, যেটা দিয়ে ড্রাম, গিটার ইত্যাদি মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট এর সাউন্ড রেকর্ড করা হয়, সেটাতেও পিজো এলিমেন্ট ব্যবহার করা হয়।

পিজো এলিমেন্ট এর একটা বৈশিষ্ট্য হলো, এর আকৃতি পরিবর্তন হলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। যেমন, আপনি যদি গোলাকার পিয়েজো এলিমেন্টে হাত দিয়ে চাপ দেন, তাহলে পিয়েজোর আকৃতি পরিবর্তন হয়ে সামান্য চ্যাপ্টা হয়ে যাবে, এবং তখন বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। তবে পিয়েজো এলিমেন্ট থেকে এসি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, তাই আপনাকে ডায়োড দিয়ে রেক্টিফায়ার বানিয়ে এসিকে ডিসিতে রূপান্তর করতে হবে।

এই প্রজেক্টের প্রয়োগঃ

এই প্রোজেক্ট বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। যেমন,

  • কার্পেটের নিচে পিজো এলিমেন্ট স্থাপন করলে কার্পেটের উপর কেউ হেটে গেলেই বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে।
  • ফুটপাথে পিজো এলিমেন্ট স্থাপন করে উৎপন্ন বিদ্যুৎ রাস্তার ল্যাম্প পোস্টে সরবরাহ করা যেতে পারে। অথবা
  • জুতার সোলের মধ্যে পিজো এলিমেন্ট স্থাপন করে উৎপন্ন বিদ্যুৎ দিয়ে মোবাইল/পাওয়ারব্যাঙ্ক ইত্যাদি চার্জ করা যেতে পারে।

নিচে এমনি একটি ফুট ওয়াকিং চার্জার (foot walking charger) এর চিত্র দেয়া হলো যা এখনো পরীক্ষাধীন আছে-

ফুট ওয়াকিং চার্জার (foot walking charger) এ পিজো এলিমেন্টের ব্যবহার হয়গবেষণায় দেখা গেছে যে পিয়েজোর উপর সরাসরি চাপ না দিয়ে পিজোর উপরে ও নিচে ফ্লেক্সিবল পদার্থ (যেমন তুলা/ফোম) রেখে মাঝখানে পিজো এলিমেন্ট রাখলে বেশি শক্তি উৎপাদন করা যায়।

এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য –

  1. পিয়েজো এলিমেন্ট একটির বেশি ব্যবহার করলে প্যারালালে সংযোগ দিতে হবে। নইলে সবগুলো পিজো তে একসাথে চাপ না পড়লে কাজ হবেনা। এবং,
  2. উৎপন্ন বিদ্যুতের পরিমাণ প্রয়োজনমত ভোল্টেজ রেগুলেটর/বুস্ট কনভার্টার ব্যবহার করে বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে হবে এবং ক্যাপাসিটর দিয়ে আউটপুট নয়েজ ফিল্টার করে নিতে হবে।
  3. এদিয়ে উৎপন্ন বিদ্যুৎ অত্যন্ত স্বল্প পরিমানের হবে।

এই বিজ্ঞান প্রজেক্টের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহঃ

  • ১। পিজো এলিমেন্ট/ পিজো ট্রান্সডিউসার
  • ২। ৪টা ডায়োড (যেমন 1N4007) – ব্রিজ রেক্টিফায়ার তৈরি করবার জন্য
  • ৩। তুলা/ফোম

বৈদ্যুতিক সংযোগ পদ্ধতিঃ

নিচে পিজো এলিমেন্ট গুলোকে কিভাবে ব্রিজ রেক্টিফায়ারের সাথে সংযুক্ত করতে হবে তা দেখানো হলো-

পিজো এলিমেন্ট গুলোকে সংযোগ দেবার পদ্ধতি
পিজো এলিমেন্ট গুলোকে সংযোগ দেবার পদ্ধতি

আউটপুটে প্রাপ্ত ডিসি কে উপযুক্ত ক্যাপাসিটর, ভোল্টজ রেগুলেটর বা বাক কনভার্টার দিয়ে কনভার্ট করে প্রয়োজনীয় লোডে দেয়া যাবে। এধরনের পাওয়ার সাপ্লাই সার্কিটের জন্য আমাদের পাওয়ার সাপ্লাই বিভাগ টি পড়ে দেখতে পারেন।


বিজ্ঞান প্রজেক্ট – ২ – মোবাইল ফোনের জন্য বিদ্যুৎ ছাড়া এম্পলিফায়ার

বিজ্ঞান প্রজেক্ট ২ - মোবাইলের জন্য বিদ্যুৎ ছাড়া এম্পলিফায়ার
বিজ্ঞান প্রজেক্ট ২ – মোবাইলের জন্য বিদ্যুৎ ছাড়া এম্পলিফায়ার

আমরা জানি যে এম্পলিফায়ার শ্রবণ যোগ্য শব্দ কে এম্পলিফাই বা বিবর্ধন করতে পারে। এই বিবর্ধনের কাজটি ইচ্ছা করলে এম্পলিফায়ার ছাড়াও করা সম্ভব। এখন তেমনি খুব মজার প্রজেক্ট নিয়ে লিখছি।

প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ

বিজ্ঞান পজেক্ট এর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ

  • ১। টয়লেট পেপার রোলের ভিতরে থাকা কাগজের পাইপ, পিভিসি পাইপ অথবা অন্য কোনও পাইপ যার ব্যস ২-৩ ইঞ্চি
  • ২। ডিসপোজেবল প্লাস্টিকের কাপ
  • ৩। মার্কার পেন বা কলম/পেন্সিল
  • ৪। কাঁচি/কাটার

এই বিজ্ঞান প্রজেক্ট টি বানাতে আমাদের যা যা করতে হবেঃ

  1. ২টি প্লাস্টিকের কাপের নিচের দিকে ছিদ্র করে নিতে হবে। ছিদ্রটি এমন হতে হবে যেন আমাদের নেয়া পাইপ টি অনায়াসে ঢুকতে পারে।
  2. আমাদের নেয়া কাগজের পাইপ (অন্যকোন পাইপ হলেও হবে) টির এক মাথা একটি কাপের ছিদ্র দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হবে।
  3. পাইপের অপর মাথায় একইভাবে আরেকটি কাপ লাগাতে হবে।
  4. পাইপের মাঝখানে ফোনের সাইজে ছিদ্র করে ফোনের স্পিকার যে দিকে সেইদিক ঢুকিয়ে দিতে হবে।
  5. স্পিকার থেকে বেরোনো শব্দ প্লাস্টিকের কাপে এমপ্লিফাই হয়ে যাবে। কাপ ও পাইপের সাইজ বাড়িয়ে কমিয়ে শব্দের পরিমাণ ও কোয়ালিটি বাড়ানো যেতে পারে।

আনুমানিক খরচ – সর্বোচ্চ ৮০ টাকা

সুবিধাঃ

  1. অন্যসব এম্পলিফায়ার চালাতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় কিন্তু এটি চালাতে বিদ্যুৎ লাগে না
  2. মোবাইলে কোন প্রকার সার্কিট বা মডিফিকেশন করা ছাড়াই প্রায় ৩-১০ গুণ শব্দ বাড়াতে পারে। প্রয়োজনে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের পাইপ ও বড় আকারের কাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

অসুবিধাঃ

  1. সহজে বহনযোগ্য নয়।

বিজ্ঞান প্রজেক্ট – ৩ – বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সোল্ডারিং আয়রন

আমরা অনেক সময়ই সোল্ডারিং আয়রন নিয়ে বিপাকে পড়ি। সস্তা সোল্ডারিং আয়রন হলে তো কথাই নেই। কিছুদিন পরে পরেই আয়রনের বিট পাল্টাতে হয় নতুবা আয়রনের হিটিং কয়েল টি কেটে যায়। কিন্তু আজকে একটি পদ্ধতির কথা বলবো যা ব্যবহার করলে সিরিজ ল্যাম্প তো ব্যবহার করা লাগবেই না বরং অর্ধেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। একই সাথে সস্তা সোল্ডারিং আয়রন ও টিকবে অনেক দিন।

প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ

  • ১। ডায়োড (যেমন, 1N4007/1N5403)
  • ২। উপযুক্ত কারেন্ট রেটিং সম্পন্ন AC সুইচ

কিভাবে তৈরি ও ব্যবহার করতে হবে?

  1. এসি সোল্ডারিং আয়রনের এক প্রান্তে একটা 1N4007/1N5403 ডায়োড কে সিরিজে লাগিয়ে দিতে হবে। এসি লাইনের যেকোন এক তারে লাগালেই হবে।
  2. ডায়োডের সাথে প্যারালেলে একটি সুইচ লাগিয়ে দিতে হবে।
  3. সোল্ডারিং আয়রন প্রথমে চালু করার সময় সুইচটি অন করে রাখতে হবে। তাতে আয়রন দ্রুত গরম হবে।
  4. সোল্ডারিং আয়রন গরম হয়ে গেলে সুইচটি অফ করে দিতে হবে। তখন ডায়োডের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ায় সোল্ডারিং আয়রনে কম বিদ্যুৎ যাবে। কিন্তু সোল্ডারিং আয়রন আগে থেকেই গরম থাকায় কম বিদ্যুৎ গেলেও আয়রনের টেম্পারেচার একই থাকবে।

সংযুক্তি করণ সার্কিট ডায়াগ্রামঃ

নিচের চিত্রটি দেখে আশাকরি বুঝতে পারছেন সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটি কেমন হবে-

অর্ধেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সোল্ডারিং আয়রন
অর্ধেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সোল্ডারিং আয়রন

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সোল্ডারিং আয়রনের কার্য প্রণালী

আমরা উপরের কানেকশন ডায়াগ্রাম লক্ষ করলে দেখতে পাচ্ছি যে একটা ডায়োড কে সুইচ এর সাথে প্যারালাল ভাবে লাগানো হয়েছে। এরপর তা সিরিজে সোল্ডারিং আয়রন এর সাথে লাগয়ে দেয়া হয়েছে।

সুইচ টা মূলত ডায়ড টাকে শর্ট করতে ব্যবহার করা হয়েছে। কারন এসি সাইন ওয়েভে থাকা মূল ২টি ওয়েভ কে পৃথক করবার জন্য।

এ ব্যবস্থার ফলে, সুইচ অফ অবস্থায় সোল্ডারিং আয়রন টি ২২০ ভোল্ট এসি কে রেক্টিফাই করে ১১০ ভোল্ট ডিসি করছে।

যেহেতু সোল্ডারিং আয়রন টি রেজিস্টিভ লোড টাইপ তাই এই পালসিটিং ডিসি দিয়েও খুব ভালোই কাজ চলে এবং আয়রন টি তার পূর্ণ ক্ষমতার অর্ধেক ক্ষমতায় চলে (৬০ ওয়াট টি ৩০ ওয়াট হয়)।

এর সুবিধা হলো, প্রয়োজন অনুযায়ী সোল্ডারিং আয়রন কে দ্রুত গরম করবার দরকার পড়লে (শুরুতে যখন ঠান্ডা থাকে বা মোটা কিছু কে সোল্ডার করতে) তখন সুইচ কে অন বা শর্ট করে দিয়ে তাতাল কে দ্রুত গরম করা যায়।

পর্যাপ্ত গরম হয়ে গেলে পরে সুইচ টিকে অফ করে দিলে ডায়োডের মাধ্যমে তাতাল টি ১১০ ভোল্ট পায় বা অর্ধেক ক্ষমতায় চলে।

এখানে বলে রাখা ভালো যে, তাপবিদ্যার মতে কোন পদার্থকে প্রাথমিক অবস্থায় গরম করতে যে পরিমান শক্তির ব্যবহার করতে হয় তা উক্ত পদার্থটি গরম হয়ে গেলে পরে আর লাগে না।
এখানেও ঠিক তাই ঘটছে।

ইচ্ছে করলে উক্ত ডায়োড ও সুইচ কে একত্র করে একটি  বেড সুইচের মধ্যে স্থাপন করেও ব্যবহার করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে বেড সুইচ টিই এই সুইচের কাজ করবে।

সুবিধাঃ

  1. প্রচুর বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে
  2. সোল্ডারিং আয়রনের বিট কে দ্রুত ক্ষয় হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষ করে
  3. দ্রুত আয়রনের কয়েল কেটে যাওয়া থেকে বাঁচায়
  4. সস্তা সোল্ডারিং আয়রনের আয়ু বৃদ্ধি করে
  5. এটি ব্যবহার করলে আলাদা ভাবে সিরিজ ল্যাম্প বা সিরিজ বোর্ড ব্যবহার করতে হয়না।
  6. হাই ওয়াটের সোল্ডারিং আয়রন কে কম ওয়াটেও ব্যবহার করা যায়। যেমন ৮০ ওয়াটের আয়রন কে ৪০ ওয়াট হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব।

এ পদ্ধতিতে সোল্ডারিং আয়রনের অর্ধেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব। এবং সিরিজ ল্যাম্পের ব্যবহার না করলেও চলে।

সোল্ডারিং আয়রনের মত কাজ করে এমন যন্ত্র যেগুলো রেজিস্টিভ লোড (যেমন ইস্ত্রি, হিটার, ফিলামেন্ট বাল্ব) তাতে এই পদ্ধতি চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে যন্ত্রের বিদ্যুতের চাহিদার উপর নির্ভর করে সঠিক ডায়োড দিতে হবে।


বিজ্ঞান প্রজেক্ট – ৪ – গ্লোয়িং ওয়াটার (Glowing water)

বিজ্ঞান প্রজেক্ট - ৪ - গ্লোয়িং ওয়াটার (Glowing water)
বিজ্ঞান প্রজেক্ট – ৪ – গ্লোয়িং ওয়াটার (Glowing water)

গ্লোয়িং ওয়াটার এর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ

  • ১। হাইলাইটার পেন
  • ২। আলট্রাভায়োলেট এলইডি অথবা আলট্রাভায়োলেট আলোর উৎস।

স্টেশনারি দোকানে যে হাইলাইটার পেন পাওয়া যায়। সেগুলোর কালির একটি বৈশিষ্ট্য হলো, কালি যদি অন্ধকারে রেখে তার উপর আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ফেলা হয়, তাহলে কালি টি অন্ধকারে তার নিজের রঙে জ্বলজ্বল করা শুরু করবে। যেমন, সবুজ রঙের হাইলাইটারের কালিতে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ফেললে সবুজ রঙে জ্বলজ্বল করবে, হলুদ রঙের কালিতে ফেললে হলুদ রঙে জ্বলজ্বল করবে।

হাইলাইটারের কালির এই বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়েই  গ্লোয়িং ওয়াটার বা অন্ধকারে জ্বলজ্বল করবে এমন পানি/রং বানানো যায়।

গ্লোয়িং ওয়াটার বানাতে যা যা করতে হবেঃ

  1. সেজন্য প্রথমে একটি হাইলাইটার পেন সংগ্রহ করতে হবে।
  2. তার নিব/ কালি বের হয় যে অংশ দিয়ে, সেটা প্লায়ারস দিয়ে অথবা অন্য কিছুর সাহায্যে খুলে ফেলতে হবে।
  3. তারপর অল্প কিছুটা পানিতে হাইলাইটার পেনটি ভিজিয়ে রাখতে হবে কয়েক মিনিট। এখন এই পানিতে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি পড়লেই পানি জ্বলজ্বল করে উঠবে।

আলট্রাভায়োলেট রশ্মি হিসেবে বাজার থেকে কেনা আল্ট্রাভায়োলেট লাইট (যা ব্ল্যাকলাইট হিসেবেও পরিচিত) ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা নিজে বানিয়েও নেয়া যেতে পারে। ২০-৩০টি UV (Ultraviolet) LED একটি সার্কিট বোর্ড এ সোল্ডার করে আলট্রাভায়োলেট টর্চ বানিয়ে নেয়া যায়।

এই গ্লোয়িং ওয়াটার দিয়ে দেয়াল, কাঁচ, কাগজে ছবি এঁকে অন্ধকারে তার মধ্যে ইউভি রশ্মি ফেললেও দারুন দেখাবে। নিচের ছবিতে দেয়ালে গ্লোয়িং ওয়াটার দিয়ে আঁকা চিত্রকর্ম দেখা যাচ্ছে-

গ্লোয়িং ওয়াটার দিয়ে করা দেয়াল চিত্র যা আলট্রাভায়োলেট আলোতে দেখা যায়
গ্লোয়িং ওয়াটার দিয়ে করা দেয়াল চিত্র যা আলট্রাভায়োলেট আলোতে দেখা যায়

বিজ্ঞান প্রজেক্ট – ৫ – খুব সহজেই বানিয়ে নিন ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র!

ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয় করার জন্য সাধারণত সিসমোগ্রাফ ব্যবহার করা হয়। সাধারণ কিছু জিনিস দিয়ে সহজেই সিসমোগ্রাফ বানিয়ে নেয়া যায়। নিচে এমনি একটি সরল সিসমোগ্রাফ যন্ত্রের ছবি দেয়া হলো-

সরল সিসমোগ্রাফ যন্ত্রের ছবি
সরল সিসমোগ্রাফ যন্ত্রের ছবি

কিন্তু আপনি যদি শুধুমাত্র ভূমিকম্প হচ্ছে কিনা বোঝার জন্য একটি যন্ত্র বানাতে চান তাহলে সেটি আরও সহজে বানাতে পারবেন-

  1. একটি পানিভর্তি গ্লাস নিবেন।
  2. ঘরের যেকোনো প্রান্ত থেকে সহজেই দেখা যায় এরকম একটা জায়গায় গ্লাসটি রাখবেন।
  3. যদি আপনার মনেহয় ভূমিকম্প হচ্ছে তাহলে গ্লাসটির দিকে তাকাবেন।
  4. ভূমিকম্প হলে পানি এদিক সেদিক নড়তে থাকবে। আর ভূমিকম্প না হলে পানি স্থির থাকবে।

ইচ্ছা করলে এই প্রজেক্টটিতে একটি এলার্ম লাগিয়ে আরও আকর্ষণীয় করতে পারেন।

ভূ-কম্পন নির্ণায়কের জন্য এলার্ম সার্কিট – ১

বিজ্ঞান প্রজেক্ট - সহজ ভূকম্পন নির্ণায়কের সাথে সংযুক্ত করবার এলার্ম সার্কিট
বিজ্ঞান প্রজেক্ট – সহজ ভূকম্পন নির্ণায়কের সাথে সংযুক্ত করবার এলার্ম সার্কিট

সেক্ষেত্রে উপরের সার্কিট ডায়াগ্রামটি অনুসরণ করতে হবে। “খ” চিহ্নিত পয়েন্টটি থেকে একটি তার টেনে পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এবং পানির লেভেলের হাফ সেন্টিমিটার উপরে “ক” পয়েন্ট থেকে একটি তার হটগ্লু/অন্য কোনও শক্তিশালী আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে নিচের চিত্রের মত করে।

বিজ্ঞান প্রজেক্ট - ৫ - সহজ ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র
বিজ্ঞান প্রজেক্ট – ৫ – সহজ ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র

ভূমিকম্পের সময় পানি নড়াচড়া করলে “ক” পয়েন্টের তারে পানি এসে লাগবে এবং তখন  ও  পয়েন্ট শর্ট হয়ে এলার্ম বেজে উঠবে এবং আপনি বুঝতে পারবেন যে ভূমিকম্প হচ্ছে।

উল্লেখ্য যে –

  • দুইটি তারের প্লাস্টিক সরিয়ে কপার অংশ বের করে নিয়ে সেখানে সোল্ডার লাগিয়ে নিতে হবে। নইলে পানির সংস্পর্শে থেকে কপারে নষ্ট হয়ে যাবে। তখন যন্ত্রটির কার্যক্ষমতা কমে যাবে।
  •  পয়েন্টের তারের সোল্ডার করা অংশটিতে যেন আঠা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • ব্যাটারি নিয়মিত চেক করতে হবে এবং ব্যাটারির চার্জ কমে গেলে বদলে দিতে হবে।

সুবিধাঃ

  1. দ্রুত নির্মাণ করা যায়
  2. তৈরি করা সহজ
  3. অল্প খরচ

অসুবিধাঃ

  1. পানি ও ব্যাটারির প্রতি প্রতিদিন খেয়াল রাখতে হয়

ভূমিকম্প নির্ণয়কারী যন্ত্রের জন্য এলার্ম সার্কিট – ২

নিচে আমাদের ইলেকট্রনিক্স ল্যাবে পরীক্ষিত একটি ভূমিকম্প নির্ণয়কারী যন্ত্রের জন্য ব্যবহৃত এলার্ম সার্কিট দেয়া হলো-

ভূমিকম্প নির্নয়কারী যন্ত্র - আর্থকুয়েক ডিটেক্টর প্রজেক্টের এর জন্য ব্যবহৃত পরীক্ষিত সার্কিট ডায়াগ্রাম
ভূমিকম্প নির্নয়কারী যন্ত্র – আর্থকুয়েক ডিটেক্টর প্রজেক্টের এর জন্য ব্যবহৃত পরীক্ষিত সার্কিট ডায়াগ্রাম

এই সার্কিট টি পূর্বের সার্কিটের কাছাকাছিই তবে এতে অতিরিক্ত হিসাবে পাওয়ার এলইডি ও আর্থকুয়েক ডিটেক্ট এলইডি আছে। একটি সার্কিট কে পাওয়ার দেওয়ার সাথে সাথে জ্বলবে আর অন্যটি ভূমিকম্প বা সেন্সরে অতিরিক্ত নড়াচড়া ডিটেক্ট করলে জ্বলবে ও একই সাথে বাযার টি সাউন্ড করে এলার্ম দিবে।

ভূমিকম্প নির্নয়কারী যন্ত্র এর জন্য ব্যবহৃত সেন্সর তৈরি

এই আর্থকুয়েক ডিটেক্টর বা ভূমিকম্প এলার্ম সার্কিটের জন্য সেন্সর টি হাতে তৈরি করতে হবে। এরজন্য একটি মোটা সিরিঞ্জ, একটি স্প্রিং, একটি ধাতুর পাত ও কিছু বুদ্ধি খরচ করতে হবে। নিচের চিত্রের মত করে সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটি সাজিয়ে নিন-

ঘরে তৈরি সহজ ভূমিকম্প নির্নয়কারী যন্ত্র - আর্থকুয়েক ডিটেক্টর এর জন্য হাতে তৈরি সেন্সর
ঘরে তৈরি সহজ ভূমিকম্প নির্নয়কারী যন্ত্র – আর্থকুয়েক ডিটেক্টর এর জন্য হাতে তৈরি সেন্সর

এখানে উল্লেখ্য যে লম্বা স্প্রিং পাওয়া না গেলে মোটা হীটারের কয়েল ও ব্যবহার করতে পারেন।

ল্যাব নোট

যন্ত্রটি আমাদের ইলেকট্রনিক্স ল্যাবে পরীক্ষার সময় ফলস ট্রিগারিং সমস্যা দেখা দিয়েছিল। মূলত ৫৫৫ আইসি এর ২ নং ট্রিগার পিন টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় এমন সমস্যা হচ্ছিল। তা দূর করবার জন্য ২ নং পিন ও গ্রাউন্ডের মাঝে একটি আর.এফ ফিল্টার (RF filter) ক্যাপাসিটর অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। এবং সেন্সর থেকে এই সার্কিট এ সংযোগ দেবার তারটি বেশি লম্বা দেওয়া উচিৎ নয়। 

সম্পূর্ণ প্রজেক্ট টি শেষ হলে পরে দেখতে এমন দেখাবে-

ভূমিকম্প নির্নয়কারী - আর্থকুয়েক ডিটেক্টর তৈরি করবার পরে যেমন দেখাবে
ভূমিকম্প নির্নয়কারী – আর্থকুয়েক ডিটেক্টর তৈরি করবার পরে যেমন দেখাবে

প্রজেক্টের টেস্টিং ভিডিও

আমাদের ইলেকট্রনিক্সের ইউটিউব চ্যানেলে এই ভূমিকম্প নির্নয়কারী যন্ত্রের টেস্টিং ভিডিও দেয়া হয়েছে। ভিডিও দেখলে আশাকরি বুঝতে সুবিধে হবে কিভাবে এই ভূ-কম্পন নির্ণায়ক যন্ত্রটি কাজ করে। আমাদের ইলেকট্রনিক্স চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করলে এমন আরো অনেক ভিডিও সামনে পাবেন। নিচে টেস্টিং ভিডিও টি দেখুন-

বিশেষ জ্ঞাতব্যঃ

এই টিউটোরিয়াল ভিডিওতে একটি সরল সার্কিট এর মাধ্যমে Earthquake এলার্ম তৈরি ও এলইডি জ্বালানো দেখানো হয়েছে। ইচ্ছে করলে এর সাথে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ যুক্তকরা সম্ভব যেমন-

  1. আর্থকুয়েক হওয়া মাত্রই যেন বিশেষ যন্ত্রপাতি, গ্যাস লাইনের সংযোগ, ব্যাংক এর ভল্ট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বন্ধ হয়ে যায়।
  2. আর্থকুয়েক ঘটবার সাথে সাথেই যেন বিশেষ কোন পরিষেবা চালু করা
  3. ঘটবার সাথে সাথেই গুরুত্বপূর্ণ মোবাইলে এসএমএস (SMS) বা আপদকালীন ক্ষুদ্র সতর্ক বার্তা পাঠানো, ইত্যাদি।

এই প্রজেক্ট টি আরো অনেক ভাবেই করা সম্ভব। যেমন মার্কারী টিল্ট সুইচ, গ্লাসের পানি, লেজার, গাইরোসেন্সর ব্যবহার করে ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে এর উদ্দেশ্য যেহেতু শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞানে অনুপ্রানিত করা তাই সেন্সর টিকেও নিজের হাতে তৈরি করতে দেখানো হয়েছে

বিজ্ঞান মেলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ

বিজ্ঞান মেলায় অংশ গ্রহণের আগের প্রস্তুতিঃ

  1. বিজ্ঞান মেলায় যত সহজ প্রজেক্টই করা হোক না কেন কমপক্ষে ১ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং বিজ্ঞান মেলার রেজিস্ট্রেশনের আগে প্রজেক্ট শেষ করতে হবে।
  2. সম্ভব হলে নিজেকে একটা ডেডলাইন দিয়ে ঠিক করতে হবে যে, বিজ্ঞান মেলার রেজিস্ট্রেশনের আগে এতদিনের মধ্যে প্রোজেক্ট শেষ করবো। নইলে হাতে অনেক সময় আছে ভেবে ধীরে সুস্থে কাজ করলে দেখা যাবে শেষের দিকে তাড়াহুড়া করে কোনওমতে জোড়াতালি দিয়ে প্রজেক্ট দাড় করাতে হচ্ছে। তাই টাইম ম্যানেজমেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ
  3. গবেষণা চালানোর সময় নিয়মিত নোট রাখতে হবে প্রজেক্টের অগ্রগতি সম্পর্কে, এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে গবেষণা করার সময়।
  4. যে বিষয় নিয়ে বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহন করা হচ্ছে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। যেন বিচারক মণ্ডলী বিভিন্ন প্রশ্ন করলেও আটকে যাওয়া না লাগে।
  5. প্রদর্শিত বিষয়ের তাত্ত্বীক ও ব্যবহারিক দিক সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখতে হবে।
  6. প্রয়োজনীয় গাণিতিক ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হাতের কাছে রাখতে হবে যেন বিচারক গণ চাইলেই তা প্রদর্শন করা যায়। প্রয়োজনে খাতা কলমে পুনরায় করে দেখাবার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

বিজ্ঞান মেলায় উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুতিঃ

  1. ঘাবড়ানো যাবে না। পুরষ্কার পেতেই হবে এমন মনোভাবের চেয়ে বিজ্ঞান প্রজেক্ট কে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি -এ তৃপ্তি পাবার জন্য যা করতে হয় তাই করা সমীচীন।
  2. উপস্থাপনের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। যেন কোন প্রশ্ন করে আটকাতে না পারেন বিচারক মণ্ডলী কিংবা দর্শক।
  3. অনেক সময়ই বিচারকগণ ভুল প্রশ্ন করে বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রনকারীর মেধার যাচাই করেন। সে বিষয়েও সম্যক ও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
  4. বেশিরভাগ বিজ্ঞান মেলাতেই পোস্টারের জন্য আলাদা নম্বর বরাদ্দ থাকে। তাই পোস্টার বানাতে হবে।
  5. পোস্টার এ বড় করে প্রজেক্টের নাম লিখতে হবে এবং পুরো পোস্টার এমন সাইজের হবে, যেন ৬ ফিট দূর থেকে প্রতিটা লেখা ভালভাবে পড়া যায়।
পোস্টারে খুব বেশি ডিজাইন করার দরকার নেই, কিন্তু এমনভাবে লেখা সাজিয়ে রাখতে হবে যেন একনজরেই দেখে প্রোজেক্ট সম্পর্কে মোটামুটি একটা আইডিয়া পাওয়া যায়।

আশাকরি উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে বিজ্ঞান মেলায় প্রজেক্ট উপস্থাপন করলে যে কোন প্রজেক্টই খুব আকর্ষনীয় হবে। আর আমার দেয়া এই ৫ টি প্রজেক্ট বানিয়ে অবশ্যই অনেক আনন্দ পাবেন, কারণ নিজের তৈরি প্রজেক্টের আনন্দই আলাদা 😀

সম্পাদনায় – সৈয়দ রাইয়ান 

বিজ্ঞান মেলার প্রজেক্টের জন্য পোস্টার - হাসতে খেলতে বিজ্ঞান

9 মন্তব্য

  1. মন্তব্য:পিএজো এলিমেন্ট পাবো কোথায় এবং এর দাম কত হতে পারে? জানালে খুব উপকৃত হতাম

    • দেরীতে রিপ্লাই দেয়ার জন্য দুঃখিত।
      স্টেডিয়ামে পাতলা ছোট স্পিকার পাওয়া যায়, সেগুলোর ভেতরে পিয়েজো এলিমেন্ট থাকে। ২৫ টাকা করে দাম। সেগুলোর ভেতর থেকে খুলে নেয়া যায়। আমি মিলেনিয়াম ইলেক্ট্রনিক্সে এধরণের স্পিকার দেখেছিলাম।
      টেকশপবিডি, রোবটিক্সবিডিতেও পাওয়া যায়। তবে দাম অনেক বেশি। ৩০০-৩৫০ এর মত।

  2. ভাইয়া, আমি কি আপনার যোগাযোগের মোবাইল নম্বরটা পেতে পারি?? আমি আসলে ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে খুব আগ্রহী। কিন্ত গাইডলাইনের অভাব থাকায় এগিয়ে যেতে পারছি না। যদি আপনি আপনার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম দেন খুবই উপকৃত হবো। ধন্যবাদ।

উত্তর প্রদান

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন