ইলেক্ট্রনিক্সে বহুল ব্যবহৃত এবং খুবই কাজের একটি জিনিস এই ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স। ভেরিয়েবল বা পরিবর্তনশীল রেজিস্ট্যান্স যেখানে প্রয়োজন সেখানেই এর ব্যবহার এবং এর দ্বারা সার্কিটের বিভিন্ন অংশে প্রয়োজন মাফিক ভোল্টেজ কম বেশী করা যায়। আমরা সবাই এই যন্ত্রাংশের সাথে পরিচিত কারণ আমাদের গান শুনবার যন্ত্রগুলোতে ভলিউম কমাতে বাড়াতে যে নবটি ঘুরাতে হয় তাই আসলে ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স। আসুন ছবি দেখি:
এর সাধারণ বৈশিষ্ট হিসাবে তিনটি পা থাকে। এর একপাশে ইনপুট আর আরেকপাশে আউটপুট থাকে। মাঝের অংশটি ঘুরিয়ে রেজিস্ট্যান্স পরিবর্তনকরে কাজে লাগানো হয়। সার্কিটে সিম্বল হিসাবে কেমন থাকে তা দেখি:
নানান রকম আকারে ও প্রকারে বাজারে এটি পাওয়া যায়। নীচের ছবিটা দেখলে তা বুঝতে পারা যাবে:
এই আকার ও প্রকারে ভিন্নতা হয় মুলত কাজের সুবিধার জন্য এবং সার্কিটের প্রকারভেদের উপর। উপরের ছবির ডান দিকের উপরে তার প্যাঁচানো টাইপ টা আসলে ওয়্যারউন্ড টাইপ যা সাধারণত পাওয়ার সার্কিটে ব্যবহৃত হয়। যেখানে বেশী কারেন্ট প্রবাহের বিষয় থাকে সেখানে এই টাইপের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোন কোন এমন রেজিস্ট্যান্স এর সাথে সুইচও থাকে অন অফ করবার জন্য। ছোট আকারের ব্যাটারী চালিত অডিও সিস্টেম, রেডিও প্রভৃতিতে সাধারণত ভলিউম কন্ট্রোলের সাথেই অন অফ সুইচ একত্রে কাজ করবার জন্য এই ব্যবস্থা থাকে।
একটি ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স এর ভিতরের গঠন কেমন হয় তা দেখি:
এখানে মুলত একটি রেজিস্টিভ মিডিয়া বা মাধ্যমকে (২ অংশ) দুটো পরিবাহীর মাধ্যমে যুক্ত করা হয়। এর সাথে ঘুরতে সক্ষম একটি পরিবাহী যুক্ত করে এর মাঝের ভেরিয়েবল অংশটি তৈরী করা হয়। A এবং W অংশ এর মাঝের রেজিস্ট্যান্স আর W এবং B এর মাঝের রেজিস্টেন্স নির্ভর করে রেজিস্টিভ মিডিয়া বা মাধ্যমের উপর W অংশের অবস্থানের উপর। এখন মাঝের অংশ ঘুরালে এর অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে A এবং B এর সাথে এর রেজিস্ট্যান্স এর পরিবর্তন ঘটবে। একটু বুদ্ধি খাটালে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। 3 অংশের অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে A এবং B এর সাপেক্ষে W অংশের রেজিস্ট্যান্স পরিবর্তন ঘটবে। সকল ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স এভাবেই কাজ করে।
এমপ্লিফায়ার বা এই ধরনের যন্ত্রে যেখানে দুটো আলাদা অডিও চ্যানেল কে একই সাথে নিয়ন্ত্রণ করবার দরকার হয় সেখানে স্টেরিও ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স ব্যবহার করা হয়। আসুন দেখতে কেমন হয় তা দেখি (দেখতে অন্য রকমও হতে পারে ও পাওয়া যায়)
বিশেষ রকমের ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স:
আলোর উপর নির্ভর করে কিছু পদার্থের রোধ বা রেজিস্ট্যান্স পরিবর্তন হয় এবং এই ব্যাবস্থাকে কাজে লাগিয়ে তৈরী করা হয়েছে – লাইট ডিপেনডেন্ট ভেরিয়েবল রেজিস্টেন্স বা এলডিআর (LDR)। ছবিতে দেখি:
ইতিমধ্যে রাহিন এই এলডিআর কে কাজে লাগিয়ে কিভাবে সার্কিট করা যায় তা নিয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছে। এখানে তা দেখা যাবে।
কোন প্রকার প্রশ্ন থাকলে বা কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট অংশ এবং ফেসবুক খোলা থাকলো – সবাইকে ধন্যবাদ আমাদের ইলেক্ট্রনিক্সের সাথে থাকবার জন্য।
ধন্যবাদ দুরন্ত ভাইয়া আমার পোস্ট মেনশন করার জন্য 🙂 😀
Thanx you sir