আস্সালামু আলাইকুম, সকল বন্ধুদের জানাই একরাশ ভালবাসা। আশাকরি সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন৷
মিথ্যা বলা একটি পাপ কাজ৷ প্রতিনিয়ত কোন না কোন ভাবে আমরা মিথ্যাকথা বলে ফেলি৷ আমাদের উচিৎ মিথ্যাকথা না বলা৷ আমাদের উচিৎ আল্লহর কাছে ক্ষমা চাওয়া| যাতে আমাদের গুনাহ মাফ করে দেন৷ আমাদের প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেনঃ-
তোমরা মিথ্যা বলোনা, কারন মিথ্যা নিয়ে যায় পাপের দিকে আর পাপ নিয়ে যায় জাহান্নামের দিকে
কোন ধর্মেই মিথ্যা কথা সমর্থন করেনা৷ আমাদেরও উচিৎ মিথ্যা না বলা৷ মিথ্যাবাদীর শাস্তি ভয়াবহ।
বিজ্ঞান আমাদের নিয়ে যাচ্ছে অনন্য উচ্চতায়৷ সকল ক্ষেত্রেই বিজ্ঞান আমাদের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে৷ তেমনি মানুষ মিথ্যা বললেও বলে দিবে যন্ত্র!!! এটাও সম্ভব নাকি! জ্বী হ্যাঁ, এটাও সম্ভব বিজ্ঞানের কল্যাণেই৷ কিংবা বলা যায় ইলেকট্রনিক্সের কল্যাণে। কারন আমদের শরীরে যে নার্ভগুলো আছে সেগুলো বৈদ্যুতিক সংকেত প্রেরনের মাধ্যমে কাজ করে৷ আর মিথ্যা কথা বলবার সময় আমাদের দেহের কিছু সূক্ষ্ণ পরিবর্তন হয়। সেই সংকেতকে কাজে লাগিয়েই হয় মিথ্যুক ধরার যন্ত্র “লাই ডিটেকটর“৷
এই সার্কিটটি হয়ত শক্তিশালী গুলোর মত আউটপুট দিবেনা৷ তারপরও এটা দিয়েও মোটামুটি কাজ করা সম্ভব৷
ভালো লাই ডিটেক্টরের গালভারি একটা নাম আছে।
তাকে বলে Polygraph machine (পলিগ্রাফ মেশিন)
পরিচ্ছেদসমূহ
লাই ডিটেক্টর এর সার্কিট ডায়াগ্রামঃ
সার্কিটের কার্যকারিতাঃ
এই সার্কিটটি মুলত তাড়িত চামড়া প্রতিক্রিয়া (GSR) নামে নীতির উপর কাজ করে৷ এটা মানুষের চামড়া পরিবহন ক্ষমতা পরিমাপ করে৷ কেউ যখন মিথ্যা কথা বলে তখন তার শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, হার্টবীট, ব্লাড প্রেসার ঘর্ম গ্রন্থির নিঃসরনের পরিমান পরিবর্তিত হয়৷
এছাড়াও ত্বকের পরিবহন ক্ষমতা বেড়ে যায়৷ এরফলে সার্কিটে উচ্চ তড়িৎ প্রবাহিত হয় যা এনালগ মিটারের কাঁটাকে বিক্ষিপ্ত করে। ফলে মিথ্যাবাদীকে ধরা সহজ হয়।
লাই ডিটেকটরের পার্টস লিস্টঃ
- ১. ১টা 1uF ক্যাপাসিটর
- ২. ২টা রেজিস্টেন্সঃ ৩৩ কিলো ওহম ও ১.৫ কিলো ওহম
- ৩. ১টা ভেরিয়াবেল রেজিস্টেন্সঃ ৫-১০ কিলো ওহম)
- ৪. ১টা NPN ট্রানজিস্টর (2N3565, BC547, S9014, D400)
- ৫. ১টা এনালগ মিলিএম্প মিটার (০-১ mA)
- ৬. ৯ ভোল্ট ব্যাটারি
- ৭. ২টা ইলেকট্রোড / ২টা ক্লিপ
কিভাবে সার্কিট অ্যাডজাস্ট করবেঃ
সার্কিটটিতে ২টা ইলেকট্রোড আছে। যাকে পরীক্ষা করবে তার হাতে লাগাতে হবে৷ ফলে ওই ব্যক্তির চামড়া হবে সার্কিটের ইনপুট৷ এবার সার্কিটে দেয়া ভেরিয়াবেল রেজিস্টেন্স আছে ঘুরিয়ে অ্যানালগ মিটারের মান শূন্য করতে হবে৷ এরপর তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে হবে। সহজ থেকে জটিল। আস্তে আস্তে মূল প্রশ্নের দিকে আসতে হবে।
তাহলে দেরি না করেই আজই বানিয়ে ফেলুন এই মজার সার্কিট “লাই ডিটেকটর” আর সত্য ঘটনায় উদ্ভাসিত হই আমরা।
সম্পাদকীয় মন্তব্যঃ এই যন্ত্রটিকে নিছক খেলা কিংবা বিজ্ঞান মেলার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এর দ্বারা কোনোরূপ বিচার কার্য, চোর ধরা, কাজের মেয়ে সত্যি বলছে না মিথ্যা বলছে এরূপ কর্ম কান্ড থেকে বিরত থাকুন। তেমন প্রয়োজনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নিন।
আমাদের সাইটে প্রচারিত কোনো প্রজেক্ট বা সার্কিটের অপব্যবহার এর দায় আমাদের ইলেকট্রনিক্স সাইট ও সংশ্লিষ্ঠ লেখক, কলাকুশলী বৃন্দ নিতে অক্ষম। ছোটরা অবশ্যই বড়দের তত্ত্বাবধানে এসকল কাজে হাত দিবেন।
ভাই এই সার্কিট দারা আমি উৎসাহিত হয়েছি। এটা কি পরীক্ষিত। জানালে ভাল হয় ।এছাড়া আপনি বলছেন মুল প্রশ্নের কথা। এখানে মুল প্রশ্ন কী ।বুঝিয়ে বললে ভাল হয়
Sujon Mridha ভাই এখানে মূল প্রশ্ন হলো যে সকল প্রশ্ন করলে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি ঘাবড়ে যায় অর্থাৎ যে সকল প্রশ্ন করলে তার দুর্বলতা প্রকাশ পায় এমন 🙂
ভাই যদি এটা কিভাবে কাজ করে,অার কি ভাবে তৈরি করে তার ভিডিও টা একটু দিতেন তাহলে খুব ভাল হয়।