যাদের অলরেডি এমবেডেড সিস্টেম নিয়ে প্রাথমিক ধারনা আছে তারা অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন অ্যাডভান্সড লেভেল এর পর্বগুলোর জন্য। আর যারা এলেমেনটারি লেভেল এ আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি – ‘এমবেডেড সিস্টেম খুব সহজ ও না আবার কঠিন ও না। শুধু দরকার ধৈর্য ধরে লেগে থাকা।’
শুরু করার আগে যা জানা প্রয়োজন
পরিচ্ছেদসমূহ
একজন ভালো এমবেডেড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার এর মালটিডিসিপ্লিনারি দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। দক্ষতার ক্ষেত্রগুলো হল –
- ১। ব্যবহারিক ইলেকট্রনিক্স
- ২। প্রোগ্রামিং/সফটওয়্যার
- ৩। মাইক্রোপ্রসেসর অ্যান্ড কম্পিউটার আরকিটেকচার
- ৪। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স
- ৫। মেকানিক্যাল সিস্টেমস
- ৬। কন্ট্রোল সিস্টেমস
- ৭। কমিউনিকেশন সিস্টেমস অ্যান্ড প্রটোকলস
- ৮। সেন্সরস অ্যান্ড অ্যাকচুয়েটরস এবং
- ৯। তাত্ত্বিক জ্ঞানের এপ্লিকেশন সেন্স
সবার শেষের টা ‘তাত্ত্বিক জ্ঞানের এপ্লিকেশন সেন্স’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু এই জিনিসটা না থাকার কারনে অনেকেই এই ফিল্ড এ ভালো করতে পারে না। মাইক্রোকন্ট্রোলার হচ্ছে সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী টুল। একটা বাস্তব সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে সেটা প্রথমে হিউম্যান ব্রেইন এই আসতে হবে। এরপর চিন্তা করতে হবে মাইক্রোকন্ট্রোলার’ নামক শক্তিশালী টুলকে প্রবলেম সলভিং এ কিভাবে ব্যবহার করবো ।
মাইক্রোকন্ট্রোলার Vs মাইক্রোপ্রসেসর
কাজের ধরনঃ
মাইক্রোকন্ট্রোলার ‘ডেডিকেটেড’ কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ আপনার বাসার মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কনডিশনার বা রেফ্রিজারেটর এ মাইক্রোকন্ট্রোলার কিন্তু ওই কাজ ই করে থাকে যেটা তাকে প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। কিন্তু মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার করা হয় জেনারেল পারপাস কাজের এর ক্ষেত্রে। মাইক্রোপ্রসেসর বেসড system এ আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করে থাকি। আমাদের ল্যাপটপ বা সেলফোন মাইক্রোপ্রসেসর বেসড system এর সবচেয়ে বড় উদাহরন।
গাঠনিক অংশসমুহঃ
মাইক্রোপ্রসেসর এ CPU স্বতন্ত্র অংশ হিসেবে থাকে। RAM, ROM, I/O, TIMER এগুলোও আলাদাভাবে থাকে।মাইক্রোকন্ট্রোলার এ CPU, RAM, ROM, I/O, TIMER একটা আইসি বা চিপ এর মধ্যে থাকে।
সম্প্রসারনঃ
মাইক্রোকন্ট্রোলার এ নির্দিষ্ট ধারন ক্ষমতার RAM, ROM থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ধারণক্ষমতা মাইক্রোপ্রসেসর বেসড system এর তুলনায় কম হয়ে থাকে। I/O পোর্ট এর সংখ্যাও নির্দিষ্ট। মাইক্রোপ্রসেসর বেসড system এর ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী RAM ,ROM এর ধারন ক্ষমতা কমানো বাড়ানো যায়।
ব্যবহারঃ
মাইক্রোপ্রসেসর বেসড সিস্টেম এর তুলনায় কম খরচে, কম জায়গায়, কম পাওয়ার কনজাম্পশন করে এই ধরনের সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে মাইক্রোকন্ট্রোলার ব্যবহার করা হয়।
মাইক্রোকন্ট্রোলার Vs পিএলসি
গঠনগত এবং কাজের ধরন অনুযায়ী মাইক্রোকন্ট্রোলার এবং পিএলসি প্রায় সমার্থক ডিভাইস। মাইক্রোকন্ট্রোলার ব্যবহার করে ইলেকট্রনিক্স সার্কিট এ ইন্টেলিজেন্স প্রদান করা হয় আর পিএলসি ব্যবহার করা হয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন এ।
একটি পিএলসি কে টিয়ার-ডাউন করলে ইনসাইডে মাইক্রোকন্ট্রোলার এর মতো একটা অংশ পাওয়া যাবে। আরও পাওয়া যাবে পাওয়ার সার্কিট এবং কিছু রিলে।
পিএলসি বেসড সিস্টেম তুলনামুলকভাবে সহজে এবং দ্রুত অপারেশন, কনফিগারেশন, system মডিফিকেশন করা যায়। এটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সট্রিম পরিবেশের উপযোগী করে ডেভেলপ করা হয় যেখানে উচ্চ তাপমাত্রা, হিউমিডিটি এবং কম্পন বিদ্যমান। এটার নয়েজ ইমুউনিটি বেশি।
পিএলসি কে তুলনামুলকভাবে সহজে গ্রাফিক্যাল প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ (ল্যাডার অথবা ফাংশনাল ব্লক) এর মাধ্যমে প্রোগ্রাম করা যায়।
মাইক্রোকন্ট্রোলার অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর পক্ষে পিএলসি বেসড সিস্টেম নিয়ে কাজ করা তুলনামুলক সহজ হয়। কিন্তু শুধু পিএলসি ধারনা থাকলে মাইক্রোকন্ট্রোলার বা এমবেডেড সিস্টেম এর ডেপথ যাওয়া কঠিন। এমবেডেড সিস্টেম এর সার্কিট পর্যায়ে ডিজাইন, ইউজার ইনটারফেস এবং প্রোগ্রামিং প্রক্রিয়া পিএলসির তুলনায় জটিল। (চলবে)
বিঃদ্রঃ অনুমতি ছাড়া কেউ কপি করবেন না বা অন্য কোথাও পাবলিশ করবেন না ।