মূল প্রবন্ধ: Build Your Own Coils and Transformers
প্রকাশক: BPB Publications
অনুবাদ: শুকদেব বিশ্বাস
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: Shoaib Hossain
সার্বিক সহযোগিতায়: সৈয়দ রাইয়ান
পাওয়ার ট্রান্সফরমার
পাওয়ার সাপ্লাইতে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার গুলো পাওয়ার ট্রান্সফরমার নামে পরিচিত। এছাড়া আরও অনেক ধরনের ট্রান্সফরমারই হয়ে থাকে, যেমন I.F Transformer (IFT), R.F Transformer (RFT), H.T Transformer (HT Transformer) ইত্যাদি। অন্যান্য ট্রান্সফরমারের মতো এতেও দুই বা ততোধিক কয়েল থাকে। অন্যান্য ট্রান্সফরমারের সাথে পাওয়ার ট্রান্সফরমারের কমপক্ষে দুটি পার্থক্য আছে


পাওয়ার ট্রান্সফরমার ও অন্যান্য ট্রান্সফরমারের পার্থক্যঃ
প্রথমতঃ
এই দুই বা ততোধিক কয়েলের নির্দিষ্ট প্যাচ (টার্ন) সংখ্যা ও অভ্যন্তরীণ কোরের মাধ্যমে একে অপরের মধ্যে বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় আবেশ তৈরি করে ও উচ্চ বিদ্যুৎ কে নিম্ন বা তার বিপরীতে রূপান্তর করতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ
এগুলো তুলনামূলক ভাবে হাই পাওয়ার রেটিং এর হয়ে থাকে

মূল বিষয়ঃ
এই ধারাবাহিক লেখার মাধ্যমে আমরা এসি মেইন লাইনে ব্যবহৃত পাওয়ার ট্রান্সফরমারের কিছু তত্ত্ব ও তথ্য আলোচনা করবো। আমাদের দেশের এসি মেইন সাপ্লাইয়ের প্রতি ফেজ-এ ২২০ ভোল্ট – ৫০ হার্জ এর হয়ে থাকে। এখানে সাপ্লাই ফ্রিকুয়েন্সি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে, একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকুয়েন্সির জন্য ডিজাইন করা ট্রান্সফরমার কখনোই ওই ফ্রিকুয়েন্সি অপেক্ষা অন্য কোনো ফ্রিকুয়েন্সিতে ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
ট্রান্সফরমার কিভাবে কাজ করেঃ

ট্রান্সফরমারের এক বা একাধিক কয়েলে যখন এসি পাওয়ার ইনপুট দেয়া হয়, তখন কয়েল এবং আয়রণ কোরের চতুর্দিকে ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স উৎপন্ন হয়, যার কারণে অন্যান্য কয়েলে আবেশিত কারেন্টের সৃষ্টি হয়। যে কয়েলগুলোতে পাওয়ার ইনপুট দেয়া হয়, সেগুলো প্রাইমারি। এবং যেগুলো থেকে পাওয়ার আউটপুট নেয়া হয় সেগুলো সেকেন্ডারি হিসেবে পরিচিত। এই সেকেন্ডারি কয়েলে উৎপন্ন ভোল্টেজ প্রাইমারি বা সাপ্লাই ভোল্টেজের থেকে বেশি (স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার) বা কম (স্টেপ ডাউন) হতে পারে। মূলত কাজের ধরণ হিসেবে এই ট্রান্সফরমারের প্রকার এমন ২ ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রত্যেক কয়েলে তারের টার্ন বা প্যাচের সংখ্যা ট্রান্সফরমারের কোরের সাইজের সাথে ব্যাস্তানুপাতিক ভাবে পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ কোর মোটা হলে তারের প্যাচ বা টার্ন সংখ্যা কমে, আর কোর চিকন হলে প্যাচ বাড়ে।
ল্যামিনেটেড কোর কি ও এর প্রয়োজনীয়তাঃ
প্রাইমারি কয়েলে পাওয়ার ইনপুট দেয়ার ফলে উৎপন্ন ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ম্যাগনেটিক ফ্লাক্সের কারণে কোরের চতুর্দিকে জড়ানো কয়েলের পাশাপাশি কোরেও আবেশিত কারেন্টের সৃষ্টি করে। ফলে কোর যদি খুব কম রেজিস্টেন্স (রোধ) বিশিষ্ট একটি মাত্র ধাতব খন্ড হয়, তবে এতে আবেশিত কারেন্টের পরিমান অনেক বেশি হয়। এই আবেশিত কারেন্ট কোনো কাজে লাগানো যায় না, শুধুমাত্র কোর গরম হয়ে পাওয়ার বা শক্তির অপচয় হয়। এই ঘটনাটির আবিষ্কর্তার নামানুসারে একে “এডি কারেন্ট” (Eddy Current) বলা হয়।
এডি কারেন্ট একটি সহনীয়মাত্রায় কমানোর জন্য কোর-কে একটিমাত্র ধাতব খন্ডের পরিবর্তে একাধিক পাতলা ধাতব শীট-এ কাটা হয় এবং প্রত্যেকটি শীট-কে একে অন্যের থেকে ইনসুলেটেড (অপরিবাহী) করে রাখা হয়। এর পরও এডি কারেন্ট পরিবাহিত হয়, কিন্তু কারেন্ট খুবই সংকীর্ণ এরিয়ায় ভাগ হয়ে যাবার ফলে যে পরিমান পাওয়ার অপচয় হয়, তা একটিমাত্র ধাতব খন্ডের তুলনায় অনেক অনেক কম হয়ে থাকে।

ধাতব শীটগুলো একটি থেকে আর একটিকে ইনসুলেটেড করার পদ্ধতিই হলো লেমিনেশন যা বিভিন্নভাবেই করা যায়, যেমন: ধাতবপৃষ্ঠে রাসায়নিক (কেমিক্যাল) ব্যবহার করে, ভার্নিশ ব্যাবহার করে, খুব পাতলা সিমেন্ট পেপার ব্যবহার করে।
ল্যামিনেশন কোর কেমন হয়ঃ
আকারের দিক থেকে লেমিনেশন প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে:
- E and I type
- T and U type
উভয়েই তিন বাহু বিশিষ্ট কোর গঠন করে।

আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তী পর্বে দেখবো কিভাবে এই পাওয়ার ট্রান্সফরমারকে বানাতে হয়, ট্রান্সফরমার এর বিভিন্ন অংশ ও এর কিছু বাস্তব উদাহরণ। আমরা ৩০০ VA ও ৫০০ VA ট্রান্সফরমার বানানোর কৌশল (প্যাঁচ, কোর এর আকার) ও টিপস নিয়ে আসবো। তাই চোখ রাখুন, সাথে থাকুন।
আপডেট: দ্বিতীয় পর্ব https://www.amaderelectronics.com/609/
অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ, দাদা!পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আরও বেশকিছুটা বাংলা করা শেষ। ঘষামাজার কাজ চলতেছে। আশাকরি দুই-একদিনের মধ্যেই বাকিটা নিয়ে হাজির হবো। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ 🙂
দ্বিতীয় অংশ https://www.amaderelectronics.comপাওয়ার-ট্রান্সফরমার-২/
অনেক ধন্যবাদ।
অনেক প্রয়োজনীয় পোষ্ট।তবে একটা প্রশ্ন ছিল
প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই করবেন। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
আমি আছি
প্রশ্নটা হলো এখানে বলছেন যে কোরের সাইজের সাথে টার্ন ব্যস্তানুপাতিক।ধরি একটা ট্রান্সফরমার কিনলাম।এটার থেকে অর্ধেক কোর খুলে ফেল্লাম। তারপর টার্ন দ্বিগুন করে দিলাম(যদিও ওয়াট ঠিক রাখবো)।এখন কি কর্মদক্ষতা আগের মতোই হবে?
ট্রান্সফরর্মার তড়িৎচুম্বকীয় আবেশের (mutual induction) নীতিতে কাজ করে । প্রাইমারীতে ভোল্টেজ দিলে আয়রন কোরে ম্যাগনেটিক ফ্ল্যাক্স উৎপন্ন হয় । এই ম্যাগনেটিক ফ্ল্যাক্স তড়িৎচুম্বকীয় আবেশের কারনে সেকেন্ডারীতে ভোল্টেজ উৎপন্ন করছে । এ পর্যন্ত জানা আছে । কিন্তু কিভাবে এবং কেন সেকেন্ডারীতে ভোল্টেজটা উৎপন্ন হচ্ছে? প্রাইমারীতে ভোল্টেজটা দিচ্ছি, সেটা কোন কন্ডাকটর বিহীন সেকেন্ডারীতে একটা ভোল্টেজ উৎপন্ন করছে, কীভাবে হচ্ছে তার সরল এবং যুক্তিগ্রাহ্য মেকানিজমটা জানতে চাইছি? অনুগ্রহ করে খুব শীঘ্রই জানাবেন ।
হুম, খুব সুন্দর লিখছে..
ধন্যবাদ
৩য় পর্ব লিখুন।
ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা এবং অন্য একটি সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এই সিরিজ নিয়ে আপাতত লিখতে পারছিনা বলে দুঃখিত। তাছাড়া এই সিরিজের তৃতীয় পর্বে একটি বাস্তব উদাহরণ দেয়ার ইচ্ছা আছে, অর্থাৎ নিজহাতে তৈরি করে স্টেপ বাই স্টেপ ছবিসহ বর্ণনা। ফলে একটু দেরি হতে পারে। আশাকরি সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। ধন্যবাদ 🙂
কিশোর বয়সের কথা মনে হয়ে গেল
hm
3rd porbo likhun
ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা এবং অন্য একটি সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এই সিরিজ নিয়ে আপাতত লিখতে পারছিনা বলে দুঃখিত। তাছাড়া এই সিরিজের তৃতীয় পর্বে একটি বাস্তব উদাহরণ দেয়ার ইচ্ছা আছে, অর্থাৎ নিজহাতে তৈরি করে স্টেপ বাই স্টেপ ছবিসহ বর্ণনা। ফলে একটু দেরি হতে পারে। আশাকরি সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। ধন্যবাদ 🙂
সবার অনুরোধ জায়গা মতো পৌঁছে দিলাম… আশা করি লেখক ৩য় পর্ব শীঘ্রই লিখবেন 🙂 Sukdeb Biswas
চমতকার হয়েছে।খুবই সাবলিল ভাষায় বুঝিয়েছেন।
ধন্যবাদ 🙂
ok
ধন্যবাদ
এটার থার্ড পার্ট দেওয়ার কথা ছিল
ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা এবং অন্য একটি সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এই সিরিজ নিয়ে আপাতত লিখতে পারছিনা বলে দুঃখিত। তাছাড়া এই সিরিজের তৃতীয় পর্বে একটি বাস্তব উদাহরণ দেয়ার ইচ্ছা আছে, অর্থাৎ নিজহাতে তৈরি করে স্টেপ বাই স্টেপ ছবিসহ বর্ণনা। ফলে একটু দেরি হতে পারে। আশাকরি সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। ধন্যবাদ 🙂
tnx,,
Valo legeche
স্টেপ আপ টান্সফরমা রেডিমেড কোথায় কিনতে পাব জানালে ও ফোন নাম্বার দিলে উপকৃত হব।
ট্রান্সফরমা বাধার জন্য যে সুত্র আছে সেটা জানতে চাই
লিংকে গিয়ে দেখুন। বিস্তারিত ছবি সহ দেয়া আছে।
Ep/Es=Np/Ns. Ep/Es=Is/Ip…….. E= Electrofores =Voltage, ,,,,,,,,N=Number of trun,,,, I==Amp,,,,,, P= primary, ,,S= Secondary…. .
dear brother
I want to make a 800-1000w transformer for ips. I have bought all component to make it.
here is the list.
CABLE:-
SWG 21 for primary winding,
SWG 12 for secondary winding,
CORE:-
4.5 inch
FORMER/bubbin:-
3.05"/7.747c.m.
1.6"/4.064c.m.
The transformer is make by 12-0-12V secondry and 0/N-140-220-260V
Plz help me to find out how many turn will be in primary winding and secondary winding
Thank you,